• Since 1983

News & Events

project-image

কঠোর পরিশ্রমে নাছিমা আক্তার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা

10-12-2024

কক্সবাজার রামু উপজেলার খুরুলিয়া গ্রামে বাস করেন নারী উদ্যোক্তা নাছিমা। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনতেন কৈশোর কাল থেকেই। সংসারের ব্যস্ততা আর দারিদ্রের কষাঘাতে সেটি খুব একটা সম্ভব ছিলো না তার জন্য। তবুও আত্মীয়স্বজন থেকে ধার করে ছোট পরিসরে গরু লালন পালন শুরু করেছিলেন। কিন্তু এতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি তিনি। এরমধ্যে পোল্ট্রি খাতে তার আগ্রহ বাড়তে থাকে। কিন্তু পূঁিজর স্বল্পতায় সেটি তার জন্য বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। অনেক আত্মীয় স্বজন থেকে অনেক চেষ্টা করেও মূলধন জোগাড় করতে পারেন নি। টাকার স্বল্পতায় অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরইমধ্যে তার এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন মমতা উদ্যোমী নারী সদস্যদেরকে প্রশিক্ষন ও ঋন সুবিধা প্রদান করে থাকেন কোন প্রকার জামানত ছাড়াই। তিনি নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেন। তিনি বলেন, মমতা থেকে আমি ঋন নিয়ে ২০২০ সাল থেকে মুরগীর খামার করি। তিনি শুরুতে মমতা সঞ্চয় ও ঋনদান কর্মসূচির রামু শাখা হতে ৪ লাখ টাকা ঋন গ্রহণ করেন। এরপর মুরগীর খামার করার জন্য প্রথম দিকে ২ হাজার মুরগীর বাচ্চা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। নাছিমা আরও জানান, মুরগীর বয়স যখন তিন থেকে সাড়ে তিনমাস তখন থেকেই এরা ডিম পাড়া শুরু করে। এরপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। তিনি বলেন, আমার মুরগীর খামারে দৈনিক ৩০ হাজার টাকা ব্যায় হয় এবং বিক্রী হয় ৬০ হাজার টাকা। এ থেকে আমার লাভ হয় প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে আমার খামারে ডিম দেওয়া ৬ হাজারেরও বেশি মুরগী আছে। বর্তমানে আমার খামারে আরও পাঁচজনের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতে খামারের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমি এই ব্যবসা দিয়ে সমাজের সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। মমতা আমার পাশে দাড়িয়েছে তাই এই সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও আর মনোবল থাকলে ব্যবসায়ে সফলতা আসবেই।






See Also