News & Events
আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলা করে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন হাসিনা আক্তার।
22-06-2023চরলক্ষ্যা গ্রামের বাসিন্দা হাসিনা আক্তার। পেশায় একজন গৃহিনী। তার স্বামী আবদুল মান্নান পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। হাসিনা আক্তারের উদ্দেশ্য তিনি এলাকার মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণে কাজ করবেন একই সাথে সংসারের আয় বৃদ্ধি করে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ২০০৬ সন হতে মমতা সঞ্চয় ও ঋণদান কর্মসুচির সদস্য তিনি। গাভি পালনের উদ্দেশ্য প্রথমে তিনি ২ লাখ টাকা ঋন গ্রহন করেন। সকল কিস্তি সফলভাবে পরিশোধ করে পূনরায় আরও ২০ বার ঋণ গ্রহণ করেছেন হাসিনা আক্তার। প্রথমে একটি গাভী ক্রয়ের মাধ্যমে শুরু করলেও পরবর্তিতে তা আরও বাড়াতে থাকে। করোনকালীন সময়ে হাসিনাকে পূঁজির সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে। সে সময়ে মমতাকেই পাশে পায় হাসিনার পরিবার। করোনা মহামারীর কারনে একটা সময়ে নি:স্ব হতে চলেছিলো হাসিনার স্বপ্নের উদ্যোগ। পরবর্তিতে এমডিপি-এফ প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ টাকা আবার ঋণ সুবিধা পায় হাসিনা। আবারো বিনিয়োগ করে গরুর খামারে। বর্তমানে হাসিনার ক্ষুদ্র আকারে গড়ে উঠা খামারে তার খামারে ৮টি গরু রয়েছে। গরুর খামার হতে নি:সৃত বজ্র্য বা গোবর দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব সার তৈরী বসত বাড়িতে শাক সবজি চাষ করছেন । এরফলে একদিকে পরিবারের সবজীর চাহিদা পূরণ করছেন অপরদিকে বজ্র্য সমুহ সঠিক উপায়ে ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি সাধন হতে রক্ষা পাচ্ছে। তার স্বামী পশু চিকিৎসক হওয়ার হাসিনার গরুর খামারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। হাসিনার ক্ষুদ্র আকারের খামারে আরও একজন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। হাসিনা আক্তার জানান, আমার উদ্যোক্তা হওয়ার নেপথ্যে মমতা’র অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে। কোভিড-১৯ এর পরবর্তী সময়ে মমতা আমার পাশে না দাঁড়ালে ঝুঁকি মোকাবেলা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়তো। হাসিনা জানান, বর্তমানে আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। ২ সন্তানের পড়াশুনা ও সংসার সহ অন্যান্য খরচ মেটানোর পর মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।