News & Events
পরিশ্রমে নিজের সংসারে আলো জ্বালিয়েছেন নার্গিস
03-12-2024চট্টগ্রাম কর্ণফুলি উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের মঙ্গল মাজির বাড়ির বাসিন্দা নার্গিস আক্তার। স্বামীর একার আয়ে কোনমতেই সংসারে আর্থিক উন্নতি হচ্ছিলো না। পরিবারের সকল সদস্যদের ভরনপোষন ও সন্তানদের পড়াশুনায় অনেক খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। রক্ষনশীল সমাজে বাড়ির গিয়ে কোন কিছু করবেন এমন ভাবনাও ভাবতে পারেন নি তিনি। তার প্রতিবেশি এক নারীর কাছে জানতে পারেন যে, উদ্যোমী নারীরা বাড়ির মাঝে থেকেই কোন কাজ করতে চাইলে মমতা তাদের সহায়তা করেন। এরপর মমতার শাখা অফিসে এসে একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই তিনি বুঝতে পারেন গরুর খামার করতে পারলে তার জন্য সুবিধা হবে। কিন্তু শুরুতেই এতো বড় পুঁজির ঝুঁকি তিনি নিতে চান নি। তাই মমতা থেকে প্রশিক্ষন ও ঋন সুবিধা শুরুতে মাত্র ২টি বাছুর দিয়েই গরু লালন পালন করা শুরু করেন। সেগুলো বড় করে বিক্রি করে বেশ ভালো অংকের লাভ পান তিনি। নার্গিস জানান, এরপর আমি মমতা থেকে আরও বেশি অংকের ঋন সুবিধা গ্রহন করি এবং গরুর খামার করার চিন্তা করি। আমার পরিশ্রম ও মমতার সহায়তায় ধীরে ধীরে আমার খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে আমার খামারে ২০টি গরু আছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ১২০ লিটার দুধ পেয়ে সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রী করি। দুধের গুনগত মান ভালো হওয়ায় এখন অনেকেই বাড়ি থেকেই এসে নিয়ে যায়। খামারে সকল খরচ বাদ দিয়ে আমার মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়, কখনো কখনো এর বেশিও হয়। সামনে আমি গরুর খামারকে আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে। আমি আমার স্বামীর সহায়তা ও পরিশ্রমে সংসারে এখন অনেক সুখে আছি। মমতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, প্রয়োজনের সময় মমতা আমাকে প্রশিক্ষন ও ঋণ সুবিধা দিয়ে সবসময় আমার এগিয়ে যাওয়ার পথকে সুগম করে দিয়েছে।