অনেক বেকার যুবকের আদর্শ ব্যবসায়ী দিদার

07-01-2025

চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলার ডাঙ্গারচর এলাকার বাসিন্দা মো. দিদারুল আলম। স্থানীয়দের কাছে দিদার নামেই বেশি পরিচিত। মমতা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ ইউনিটের মৎস্য খাতের একজন উপকারভোগী তিনি। ২০১৮ থেকে মমতার সাথে সম্পৃক্ত হন দিদার। জানতে চাইলে দিদার জানান,শুরুতে মাছের ব্যবসা সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা ছিলো না। ইচ্ছা ছিলো কিছু টাকা ধার করে হলেও বিদেশ চলে যাওয়ার। আমার এক বন্ধুকে আমার পরিকল্পনার কথা জানালে সে দেশে থেকেই পরিশ্রম করে লাভবান হওয়ার কথা বলেন এবং মমতার কথা আমাকে জানান। কিন্তু আমার তেমন কোন পূঁজি না থাকায় কোন ব্যবসার কথা মাথায় আসেনি। এসময় মমতা আমার পাশে দাঁড়ায়। আমাকে মাছ চাষের প্রশিক্ষন ও প্রয়োজনীয় ঋন সুবিধার কথা বলেন। এরপর জানতে পারি মাছের পোনা ব্যবসায় ব্যাপক লাভজনক। প্রথম অবস্থায় মমতা আমাকে কিছু পোনা দেয় বিনামূল্যে, সেগুলো পুকুরে চাষ করে বেশ লাভবান হই আমি। এরই মধ্যে মমতা আমাকে মিশ্র প্রজাতির মাছের পোনা চাষের প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন। এরপর আমি ১৮ হাজার টাকার পোনা ক্রয় করি। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যয়সহ আমার মোট খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। সেই পোনা বিক্রি করে আমি ৪০ হাজার টাকা লাভ করি। এরপর আর আমাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। দিদার জানান, বর্তমানে তার ১০ টির বেশি মাছের প্রজেক্ট রয়েছে সেখান থেকে মাছ চাষে ১৫ লাখ টাকারও বেশি আয় করেন। এমন আয় করে এখন এলাকার অনেক বেকার যুবকের আদর্শে পরিনত হয়েছেন তিনি। মমতা মৎস্য ইউনিট থেকে তিনি সবসময় সেবা পেয়ে থাকেন, যেমনঃ- পানি চেক করা, কীভাবে পানি পরিষ্কার করা যায়, মাছের সাইজ কিভাবে বড় হয়, কখন কি ব্যবহার করলে মাছ চাষে সুফল পাওয়া যায় এসব বিষয় জানতে পারেন মমতা থেকে। তিনি তার সমৃদ্ধিতে মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।