News & Events
সংসারে আলো ফুটিয়েছেন কামরুন্নাহার
30-12-2023বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডী এলাকার বাসিন্দা কামরুন্নাহার। মমতা সঞ্চয় ও ঋনদান কর্মসূচির একজন নিয়মিত সদস্য । তার দল নং ২৮৮২। তার পরিবারে মোট ৪জন সদস্য। স্বামী সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই আছেন তিনি। অথচ বছর পাঁচেক আগেও তার অবস্থা সন্তোষজনক ছিলো না। তার স্বামী ছিলেন একজন মৌসুমে মৎস্য খামারি। নিজেদের তেমন মূলধন না থাকায় ধারদেনা করে কোনমতে সংসার চালিয়ে নিতেন। কামরুন্নাহার বেশ কয়েকবার তার স্বামীকে মূলধন জোগাড় করে ব্যবসা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় মহাজনদের উচ্চমাত্রার সুদ পরিশোধ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না বিধায় অনেকবার সে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কয়েকবার বেশ কয়েকটি বানিজ্যিক ব্যাংকের কাছেও যান তিনি। কোন ব্যাংকেই জামানত ছাড়া লোন দিতে রাজি হলো না। হতাশ হয়ে যখন আশা ছেড়ে দিয়েছেন ঠিক তখনই এক প্রতিবেশির মাধ্যমে জানতে পারলেন মমতা’র কথা। উদ্যোমী ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণকারী নারীদের পাশে যে মমতা দাঁড়ায় সেটি জানতে পারলেন তার প্রতিবেশির নিকট হতে। প্রথমে তিনি একটি দলের সদস্য হন। এবং গোমদন্ডী শাখায় নিজের পারিবারিক অবস্থান ও নিজেদের ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন। শুরুতে ৫০ হাজার টাকার লোন সুবিধা নেন কামরুন্নাহার। সে টাকা তিনি তার স্বামীর সহায়তায় বিনিয়োগ করেন মুরগী পালন খামারে। একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমে তারা স্বামী স্ত্রী সফলতা পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তার ব্যবসায় ৩ লাখ টাকার মূলধন আছে এবং প্রতিমাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন বলে জানান কামরুন্নাহার। বর্তমানে ১ লাখ ৫০ হাজার ঋন চলমান আছে তার। এ টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে চলেছেন তিনি। তার স্বামী মুরগীর খামারের পাশাপাশি এখন মৎস্য চাষ করেন। মমতা সম্পর্কে তিনি বলেন- ‘ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্দব কারো কাছে টাকা ধার চাইলে পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে মমতা থেকে ঋণ প্রস্তাবের পরপরই আমাকে ঋণ প্রদান করেন। মমতার থেকে ঋণ নিয়ে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি।